বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে এসে প্রচারে

প্রতিনিধি, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৮
প্রিন্ট সংস্করণ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার লাগানো গাড়ি। গতকাল সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকায়। ছবি: প্রথম আলোনোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার লাগানো গাড়ি। গতকাল সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকায়। ছবি: প্রথম আলোসকাল সাড়ে নয়টার দিকে সিলেট নগরের আম্বরখানা মণিপুরিপাড়ার সামনে থামল একটি গাড়ি। তাতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার এবং ইংরেজিতে লেখা ‘ট্রেজারার’। গাড়ি থেকে নামলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ফারুক উদ্দিন। রাস্তার পাশে একটি দোকানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন। একটু পরে আরেকটি গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-০২-০৬৪১) এলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী। দুজনে কোলাকুলি করে একসঙ্গে মণিপুরিপাড়ায় ঢুকলেন।

সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম আবদুল মোমেন নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে সেখানে পৌঁছালে ফারুক উদ্দিন ও উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। এরপর শুরু হয় নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা।
নির্বাচনী আচরণবিধির ১৪ (২) ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাঁহার নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন ব্যবহার করিতে পারিবেন না এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ বা ব্যবহার করিতে পারিবেন না।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফারুক উদ্দিন গাড়ি নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে গাড়ি রাখার জায়গার বর্ণনা দিলে তিনি বলেন, গাড়ি নিয়ে শফিউল আলম চৌধুরীকে সঙ্গে করে তিনি এ কে এম আবদুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি নিয়ে সেখানে যাওয়ার কথা জানালেও বলেন, নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাননি।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী প্রচার চালাতে পারবেন না। সরকারি যানবাহন ব্যবহার করে এমন কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments